টুইটার কিলার হিসেবে পরিচিত জাপানের আলোচিত এক খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। চলতি বছরের অক্টোবরে আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। খবর-বিবিসি।
২০১৭ সালে তাকাহিরো শিরাইশি নামে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তার ফ্ল্যাট থেকে নয়জন মানুষের মৃতদেহের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। ৩০ বছর বয়সী এ সিরিয়াল কিলার ৯ ব্যক্তিকে হত্যাকাণ্ডের কথা আদালতে স্বীকার করেন। তার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণী। আত্মহত্যাপ্রবণ লোকদের হত্যা করতেন তিনি। এ কাজে ব্যবহার করতেন মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার অ্যাকাউন্ট।
টুইটারের কিলারের এ ঘটনা দেশব্যাপী ঝড় তোলে। মঙ্গলবার আদালতে বিচারের শুনানি দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়। সাধারণ দর্শকদের জন্য ১৬টি আসন রাখা হলেও ৪০০ জন মানুষ জমায়েত হন সেখানে।
এদিন অভিযুক্ত তাকাহিরোকে মৃত্যুদণ্ড রায় দেন বিচারক নওকুনি ইয়ানো। হত্যাকারীকে ‘ধূর্ত ও নিষ্ঠুর’ বলে অভিহিত করেছেন বিচারক।
জাপানি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে’কে তিনি বলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের এর জন্য আসামি পুরোপুরি দায়বদ্ধ। হত্যাকাণ্ডের শিকার নয়জনের কেউই তাকে হত্যার জন্য অনুমোদন দেয়নি। এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় যে, নয়টি জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, ২৩ বছরের এক তরুণী টুইটারে আত্মহত্যার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে তাকাহিরোর নাম।
টুইটার থেকেই তাকাহিরোর নাম-পরিচয় উদ্ধার করে গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তারা। ২০১৭ সালে পুলিশ তার বাড়ি গিয়ে সেখান থেকে ৯টি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। কুলার ও টুলবক্সের ভেতরে ছিল ২৪০টি হাড়।
পুলিশ জানায়, আত্মহত্যাপ্রবণ লোকেদের সঙ্গে বিভিন্ন আত্মহত্যামূলক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন তাকাহিরো। তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা, ‘কষ্টে থাকা মানুষদের আমি সাহায্য করতে চাই।’
Leave a reply