বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার আমতলী গ্রামের অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার আসামিরা বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আসামিদের ভয়ে বাদি ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
পুলিশের ছত্রছায়ায় আসামিরা ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার না করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ছাত্রীর মা মঞ্জুরী বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রীর বাবা আবদুল মান্নান, সাক্ষ্য লিটন ও আবদুর রশিদ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য দেয় মাদ্রাসা ছাত্রীর মা। তিনি অভিযোগ করেন, পহেলা নভেম্বর বেলা ১২টার সময় প্রতিবেশী হযরত আলীর ছেলে ওহাব (৩৫) তার মেয়েকে জোর করে ওহাবের বাড়ির সামনে ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মাদ্রাসা ছাত্রী জোরে চিৎকার দিলে তার বাবা মান্নান গিয়ে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ওহাবের লোকজন আইয়ুব আলী, বাবুল ও ইউসুফ এসে মান্নানকে মারধর করে। মেয়ের সামনে বাবাকে বিবস্ত্র করে পানিতে চুবিয়ে হত্যা হত্যা করার সময় স্থানীয় লোকজন এসে মান্নানকে রক্ষা করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঞ্জুরী বেগম বাদি হয়ে ওহাবসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করে। মামলাটি বামনা থানায় এজাহার হবার পর মাদ্রাসা ছাত্রী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেয়।
মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা মান্নান বলেন, এই ঘটনার পর আসামিরা আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছে। আসামিরা পুলিশের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে অথচ পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে না। আসামিরা আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে বলে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে খুন করবে। আসামিদের ভয়ে আমরা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াই। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। পুলিশের কাছে বলার পরও পুলিশ আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেয় না। আমরা বাঁচতে চাই। চাই ন্যায় বিচার।
আসামি ওহাবের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বামনা থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাদির বক্তব্য সঠিক নয়। আসামিরা এলাকায় নেই। তাদের ফোনও বন্ধ। তারপরও আমি তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যতটুকু জেনেছি বাদির ঘটনা অন্য রকম। একটি হাঁস নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
ইউএইচ/
Leave a reply