মার্কিন গণমাধ্যম সায়েন্স নিউজ ২০২০ সালের উদীয়মান ১০ জন তরুণ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশি-আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী তনিমা তাসনিম অন্যন্যা স্থান পেয়েছেন। চলতি বছর এই তালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেকেই ৪০ বা তার চেয়েও কম বয়সী। এবং তারা প্রত্যেকেই নোবেল বিজীয়দের দ্বারা মনোনীত হয়েছেন।
“এসএন টেন: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ”-এর শুরুতেই আছেন তনিমা তাসনিম অনন্যা। ২৯ বছর বয়সী এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। একসময় ঢাকার বাসিন্দা তনিমা কৃষ্ণগহ্বরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে কৃষ্ণগহ্বরগুলো বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশে কী প্রভাব রাখে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তিনি এ কাজ করেছেন।
সায়েন্স নিউজ টানা ছয় বছর ধরে তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে উদীয়মান ও ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি থাকা সম্ভাবনাময় তরুণ বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ করছে।
৩০ সেপ্টেম্বর সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে ভারি কৃষ্ণগহব্বর আঁকতে সক্ষম হয়েছেন এবং দেখিয়েছেন, মহাবিশ্বে কোথায় কীভাবে কৃষ্ণগহব্বর বেড়ে উঠছে এবং কীভাবে তারা তাদের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এটি সম্পন্ন করেছেন।
তনিমার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন পাঁচ বছর বয়সে যখন ঢাকায় ছিলেন, তখন তার গৃহবধূ মা তাকে মঙ্গল গ্রহে পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের অবতরণের কথা বলেছিলেন। তনিমার মা গৃহবধূ হলেও বিজ্ঞানের বিষয়ে তার কৌতূহল ছিল এবং তনিমার কৌতূহলকে তিনি উৎসাহিত করেছিলেন।
তনিমা বলেন, বাংলাদেশে এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ না থাকায় আমি পেনসিলভেনিয়ার ব্রায়ান মাওর কলেজে পড়তে স্নাতক পর্যায়েই যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছিলাম।
গবেষণার পাশাপাশি তনিমা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শদাতা নেটওয়ার্ক, “ওয়াই-স্টেম (উচ্চারণ উইজডম যার অর্থ প্রজ্ঞা) ” এর সহ-প্রতিষ্ঠা হিসেবে কাজ করছেন।
তনিমা এবং অন্য চারজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী বাংলাদেশের ২০ জন হাইস্কুল ও কলেজ লেভেলের ছাত্রীকে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন যারা ভবিষ্যতে গবেষণাখাতে তাদের লক্ষ্য খুঁজে পেতে পারে।
Leave a reply