Site icon Jamuna Television

শিল্পপতি এম এ হাসেমের মৃত্যুতে যমুনা পরিবারের শোক

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান এম এ হাসেমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপ। সফল এই শিল্প উদ্যোক্তার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানিয়েছে যমুনা পরিবার।

বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এম এ হাসেম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। এই বিশিষ্ট উদ্যোক্তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পাঙ্গণে। শুক্রবার বাদ জু’মা গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

এরআগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর এম এ হাসেমকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

স্ত্রী সুলতানা হাশেম ও পাঁচ পুত্র সন্তান নিয়ে সমৃদ্ধ পারিবারিক জীবনের অধিকারী ছিলেন এম এ হাসেম। ব্যবসার পাশাপাশি, ২০০১ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আসন থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বিশিষ্ট এই শিল্পপতি এম এ হাসেম ১৯৫৯ সালে তামাকপণ্যের কেনাবেচার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭০-এর কিছু আগে তিনি চট্টগ্রামে মেসার্স হাসেম করপোরেশন গড়ে তোলেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের পাশাপাশি সিমেন্ট, ইস্পাত আমদানি শুরু করেন। এরপর দেশেই বিভিন্ন কারখানা গড়ে তোলেন। এভাবেই গড়ে ওঠে পারটেক্স গ্রুপ। গ্রুপটির জনপ্রিয় পণ্যগুলোর মধ্যে ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক, মাম পানি ও কোমল পানীয় ব্র্যান্ড আরসি অন্যতম।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাসেম এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। জনতা ইনসুরেন্স কোম্পানিও তিনি গড়ে তোলেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের পড়ন্ত বেলায় নেমে আসে করোনার থাবা। এম এ হাসেমের সন্তান শওকত আজিজ রাসেল জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১১ ডিসেম্বর তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে গেলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে। তার মাগফেরাতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে পরিবার।

Exit mobile version