বরিশালে নারীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘাতক গ্রেফতার

|

বরিশালের গৌরনদীতে ড্রামের ভেতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার এক মাস পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানা এলাকার হিজলতলা নামক স্থান থেকে ৫৫ বছর বয়সী খালেক হাওলাদার নামের এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

আর্থিক লেনদেনের জের ধরে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিবিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা খালেক হাওলাদার এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই বরিশালের এসপি হুমায়ুন কবির। নিহত ছাবিনা বেগমের শ্বশুর বাড়ি গৌরনদী পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

শুক্রবার দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির জানান, নিহত ছাবিনা বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলাম সৌদি প্রবাসী। তার মাধ্যমে সৌদি যাওয়ার জন্য কয়েক বছর আগে ছাবিনা বেগমকে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা দেন খালেক। কিন্তু তাকে সৌদি নিতে ব্যর্থ হন শহিদুল। খালেক তার পাওনা টাকা চাইলে তা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করেন ছাবিনা বেগম।

খালেকের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পিবিআই কর্মকর্তা জানান, দুই সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন ছাবিনা বেগম। গেল ২০ নভেম্বর তিনি গৌরনদীর শ্বশুর বাড়িতে আসলে, তাকে ফোন করে কৌশলে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ভূঁইয়া মসজিদ এলাকায় ডেকে নেয় খালেক।

এক পর্যায়ে ওই এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় ছাবিনা বেগমকে। সেখানে বসেই মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে খালেক। এরপর ছাবিনার লাশ একটি ড্রামে ভরে বাসে করে ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভ্যান গাড়ি আনার কথা বলে পালিয়ে যায় খালেক। পরে পুলিশ আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে ছাবিনা বেগমের পরিচয় নিশ্চিত করে।

এঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে খালেকের স্ত্রী রহিমা বেগমকে আটক করা হয় ২২ নভেম্বর। উদ্ধার হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার বস্তুটি। তথ্য, প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ এক মাস ৪ দিন চেষ্টা চালিয়ে প্রধান আসামি খালেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান এসপি হুমায়ুন কবির।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply