২০২২ সাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালাতে পারে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হওয়া নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস। তবে আগামী দু’মাস হবে মহামারির সবচেয়ে কঠিনতম সময়।
সতর্কতা হিসেবে দেশে দেশে লকডাউন বা কড়াকড়ি বাড়ানোর বিকল্প নেই। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্কটিশ এক গবেষক। তিনি বলেন, সব দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছানের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনের ফেরার সুযোগ নেই।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। ব্রিটেনের সাথে সীমান্ত এমনকি বিমান যোগাযোগ বন্ধের পরও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনে যাচ্ছে অনেক দেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী এক বছর পর্যন্ত ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে নতুন প্রজাতির ভাইরাসটি। কারণ, গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে শনাক্ত হওয়া কোভিড নাইনটিনের চেয়ে ৪০ গুন দ্রুত ছড়াতে পারে এটি। এক্ষেত্রে আগেভাগেই সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান এই বিশেষজ্ঞের।
স্কটল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিন্দা বোল্ড বলেন, আমাদেরকে আরও সাবধান হতে হবে। কারণ এ ধরণের ভাইরাস সব সময় রূপ পরিবর্তন করে। যেহেতু এটি বহু গুণ দ্রুত ছড়ায় সেক্ষেত্রে লকডাউনে যাওয়া বা কড়াকড়ি বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন সব দেশে না পৌঁছানো পর্যন্ত আগামী এক বছর সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত আছে এমন ব্যক্তিদের ওপর বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সব দেশকেই নিজেদের অবস্থান বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ তার।
লিন্দা বোল্ড বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশকে নিজেদের অধিকারটা আদায় করে নিতে হবে। দেশে কারা আগে টিকা পাবে সে বিষয়েও পরিকল্পনা সাজাতে হবে। শীত শেষে হয়তো কিছুটা কমতে পারে মহামারির প্রভাব। তবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতার বিকল্প নেই।
করোনার নতুন প্রজাতিটি কোন দেশে কেমন আচরণ করছে বা এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে চলছে গবেষণা।
Leave a reply