ফেনীতে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে অটোচালক গ্রেফতার

|

খুরশিদ আলম (৩৪)।

ফেনী প্রতিনিধি:

দাগনভূঁঞায় এক কিশোরীকে আটকে রেখে সারারাত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুরশিদ আলম (৩৪) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার খুরশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই কিশোরী নিজে বাদি হয়ে দাগনভূঁঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খুরুশিদকে গ্রেফতার করে এবং শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান।

এরপর ওই কিশোরী ছিল অটোরিকশায় একমাত্র যাত্রী। পুরুষ যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশা চালক খুরশিদ ওই কিশোরীকে নিয়ে নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করেন এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঁঞা উপজেলার খুশিপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।

খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামি রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply