চাঁদপুরের শাহরাস্তির চেড়িয়ারা গ্রামের অস্ট্রিয়া প্রবাসী বহুল সমালোচিত সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদার জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি কলেজ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে সেফুদার মায়ের নামেই এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) প্রস্তাবিত হাসমতেন্নেচ্ছা হাসু সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করে তা উদ্বোধন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বেকার সমস্যা সমাধানে গ্রামগঞ্জে ভোকেশনাল কারিগরি স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় কলেজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। ওই স্থানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওই আশ্রয়স্থল পুড়িয়ে দেয়। আজকের তরুণ প্রজন্মের এই ইতিহাস জানা প্রয়োজন। এ কারণে যখন আমাকে বলা হলো ওখানে কলেজ হচ্ছে আমি উদ্বোধন করতে গিয়েছি।
এক প্রশ্নে উত্তরে ডা. জাফরুল্লাহ জানান, জমিটা যে কারোর হতে পারে। যেহেতু স্থানটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত, তাই সেখানে কলেজ উদ্বোধন ন্যায়সঙ্গত মনে করেছি।
সেফুদার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামছুল হুদা মজুমদার জানিয়েছেন, বিশ্ব শান্তি মিশনের সহযোগিতা ও সৌজন্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তার ভাষ্যমতে, কলেজটি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্বোধনও করেছেন। এটি এখন আপাতত একটি টিনের ঘর। কবে পাকা হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমার ছোট ভাইয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে কলেজ হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও জমির প্রয়োজন হলে আমাদের জমি দেব। কলেজ পরিচালনার জন্য আর্থিক জোগান দেবে আমার ভাইয়েরা। এছাড়া বিশ্ব শান্তি মিশন থেকেও সহযোগিতা পেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, এখানে গণস্বাস্থ্য শিক্ষাকেন্দ্র করারও আহ্বান জানিয়েছি।
ইউএইচ/
Leave a reply