সম্প্রতি মেক্সিকোতে গোপন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পরকীয়া চালিয়ে যাওয়া এক স্ত্রী ধরা পড়েছেন তার স্বামীর হাতে। ওডিটি সেন্ট্রালের খবরে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মাদক চোরাচালানের জন্য মেক্সিকো বেশ পরিচিত ছিলো। তবে এবার মনে হচ্ছে রোমান্টিক সম্পর্ক গোপন রাখতেও মাঝে মধ্যে সুড়ঙ্গের ব্যবহার হচ্ছে আজকাল।
ওডিটি সেন্ট্রাল জানায়, মেক্সিকোর ভিলাস দেল প্রডো ১ শহরের রাজমিস্ত্রি অ্যান্টোনিওর সঙ্গে টিজুয়ানা এলাকার এক বিবাহিত নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কেউ যাতে অ্যান্টোলিওকে তার গোপন প্রেমিকা পামেলার সঙ্গে দেখা করতে না দেখেন, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। যা তার বাড়ি থেকে কয়েক রাস্তা পরে প্রেমিকার বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ। সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করার পর তিনি নিয়মিত সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রেমিকা পামেলার ঘরে উপস্থিত হতেন।
কিন্তু চোরের সাতদিন গৃহস্থের এক দিন বলে একটা কথা তো আছে। একদিন পামেলার স্বামী জর্গে কাজ থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরার পর বাড়িতে তৃতীয় কারো উপস্থিতির টের পান। কিন্তু সুড়ঙ্গ দিয়ে অ্যান্টোনিও পালিয়ে যান। জর্গে পুরো বাড়ি খুঁজেও কারো দেখা না পেয়ে বেডরুমের বিছানার নিচে উঁকি দিতেই গোপন সুড়ঙ্গের দেখা পান।
এরপর অপমানিত স্বামী নিজেই গোপন সুড়ঙ্গের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে অ্যান্টোনিওর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে অ্যান্টোনিও তাকে চুপ করে থাকার জন্য অনুরোধ করেন, কারণ তার স্ত্রী পাশের ঘরে ছিল এবং তিনি চাননি যে তার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি তার স্ত্রী জানুক। কিন্তু এমন আবদার শুনে রাগে ফেটে পড়েন জর্গে এবং দু’জনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এদিকে নিজের বাড়িতে অপরিচিত এক লোককে তার স্বামীকে মারধর করতে দেখে স্তম্ভিত স্ত্রী পুলিশকে ফোন করেন। যার ফলাফল স্ত্রীর কাছে অ্যান্টোনিওর অবিশ্বস্ততা স্বীকার করা ছাড়া উপায় ছিল না।
Leave a reply