গত ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়ন করতে কংগ্রেসের অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন শহরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। একপর্যায়ে সমাবেশ অগ্নিগর্ভে রূপ নেয়।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাম্পের ১৬ সমর্থকদের আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসি ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরজুড়ে জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনায় ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটলের (পার্লামেন্ট) যৌথ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। কারণ ট্রাম্পের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্যাপিটল হিলে থাকা সিনেটর ও আইনপ্রণেতারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ট্রাম্পের এমন ঘটনাকে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, আমরা যা দেখছি তা হলো অনাচারে লিপ্ত কিছু উগ্রবাদী। এটি ভিন্নমত নয়, এটি ব্যাধি। এটি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল এবং এটি এখনই শেষ হতে হবে। অন্যদিকে ক্যাপিটল হিলে (পার্লামেন্ট) জমায়েত হওয়া হাজারো সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের ব্যথা জানি। আমি জানি যে আপনারা আহত হয়েছেন। তবে আপনাদের এখন বাড়ি যেতে হবে। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। ’
Leave a reply