যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। তারা বলেছেন, গোটা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়ালেও নিজ দেশেই গণতন্ত্রকে ধুলায় মিশিয়েছেন ট্রাম্প। একে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ বলে আখ্যায়িত করে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
নিন্দা জানানো নেতাদের মধ্যে আছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। কংগ্রেসে হামলাকে ‘অসম্মানজনক দৃশ্যের অবতারণা’ অ্যাখ্যায়িত করে তিনি টুইট করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়ায়। সেখানেই এখন শান্তিপূর্ণভাবে ও নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়াটা জরুরি।
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারও এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজের আশা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবেন।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লা ড্রায়ান বলেন, এটি গণতন্ত্রের ওপর বড় হামলা।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন টুইট করেন, ক্যাপিটল হিলের দৃশ্য একেবারে ভয়ানক।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাস বলেন, ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের মার্কিন ভোটারদের রায় শেষমেশ মানতেই হবে এবং গণতন্ত্রকে পদদলিত করা থামাতে হবে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেছেন, বাইডেনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করবে, সে বিষয়ে তিনি আস্থাবান। অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষা করছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের।
এ ঘটনায় ভীষণ অস্বস্তি ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি টুইট করেছেন, সহিসংতা কখনো জনগণের ইচ্ছার ওপর জয়ী হবে না।
নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এটি একটি বিরক্তিকর দৃশ্য। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। আর সব পক্ষের প্রতি সংযম ও সাধারণ জ্ঞান প্রদর্শনের আহ্বান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিতে ছাড়েনি ভেনেজুয়েলা। সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার আগ্রাসন নীতি দিয়ে দেশে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে, আজ নিজেরাই তার শিকার হয়েছে।
Leave a reply