Site icon Jamuna Television

আতশবাজির রঙে মাতল পুরান ঢাকা

ছবি: ইন্টারনেট।

আতশবাজির রঙে মাতল পুরান ঢাকার আকাশ। পৌষ সংক্রান্তিতে ঐতিহ্য মতো বিকেলে ঘুড়ি ওড়ানোর পর সন্ধ্যা থেকে চলে আতশবাজির খেলা। বিকেলে লক্ষ্মীবাজারে ঘুড়ি উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। কিন্তু করোনা সংক্রমণের মধ্যে ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। একসময়ের শুধু পারিবারিক আয়োজন এখন হচ্ছে বিশাল পরিসরে।

ছাদে ছাদে আতশবাজির বাহার। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ডিজে। হিন্দি ও ইংরেজি গানের মিশেলে বাঙালিয়ানার সাকরাইন উৎসবে গেলো কয়েকবছর ধরে অতি-আধুনিকতার ছাপ। একটা সময়ে শুধু ফানুস আর পটকা ফুটিয়ে শেষ হতো আয়োজন। সেখানে এখন বাণিজ্যিকভাবে উদযাপন হয় সাকরাইন। বিকেলে ঘুড়ি উড়ানোর পর সন্ধ্যা থেকে ছাদগুলো ভাড়া নেয় কোনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এরপর সেখানে টিকেট কেটে চলে আনন্দ আয়োজন। তবে এর মাঝেও ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে রাতভর উচ্ছলতায় মাতে সবাই।

ঐতিহ্য ব্যাপারটি পূর্ণতা পায় বিকেলের আকাশে। পৌষ সংক্রান্তির উৎসবে ঘুড়ির দখলে পুরান ঢাকার আকাশ। কার ছাদ থেকে কতো ঘুড়ি ওড়ে আবার পাকা হাতে কে কতো ঘুড়ি কাটাকাটি করতে পারে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। পুরান ঢাকার খাবার-পিঠার সাথে চলে আয়োজন। পুরান ঢাকার মানুষের ভাষ্য, আয়োজনে ভিন্নতা আসলেও যুগের সাথে তাল মিলাতেই চেষ্টা সবার।

রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে এমন আয়োজনে অংশ নেন দক্ষিণের মেয়র তাপস। নিজ হাতে ঘুড়িও উড়ান তিনি। সাকরাইনের আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে সিটি কর্পোরেশন সব ধরনের সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।

Exit mobile version