নিজের মেয়ের নগ্ন ছবি এক কিশোরকে পাঠাতেন মা। সেই ছবি দেখিয়ে উত্তেজিত করার চেষ্টা করা হতো ওই কিশোরকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বছরের জেল হলো ওই অভিযুক্ত নারীর। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ফিলাদেলফিয়ায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, লিন্ডা পাওলিনির (৪৫) বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের মেয়ের ছবি পাঠিয়ে ওই কিশোরকে সে বোঝাতে চেয়েছিল, আসলে সেই ওই কিশোরী। প্রলোভন দেখিয়ে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরিও করিয়ে নিয়েছিল যুবকের থেকে। ছেলেটি বুঝতেই পারেনি যে, সে ১৬ বছরের কোনো মেয়েকে মেসেজ করছে না। নিজের ১৬ বছরের মেয়ের ছবি পাঠিয়ে পাওলিনি বোঝাতে চেয়েছিল যে ওই মেয়েটি কিশোরের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু পাওলিনির মেয়ে কিছুই জানতেন না এই বিষয়ে।
এই ছবি পাঠিয়ে ওই কিশোরের থেকে নগ্ন ছবি, ভিডিও চেয়ে পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত মা।
তারপর অনলাইন ভিডিও চ্যাটের সময় মিথ্যা আত্মহত্যার ভয় দেখায়, পাল্টা ওই ছেলেটিও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আদালত জানিয়েছে, খুব ঠাণ্ডা মাথায় জঘন্য এক অপরাধ করেছে ওই নারী। ওই কিশোরকে নিজের নগ্ন ছবি পাঠাতে বাধ্য করেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, শেষ কয়েক মাসের মধ্যে ৫০ হাজার মেসেজ দেওয়া নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে। পাওলিনি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে এই নগ্ন ছবি পাঠাতো এবং চাইতো।
পুলিশ জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ লিন্ডা পাওলিনি। সেই কারণেই সে এরকম কাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধু ওই কিশোর নয়, আরও দু’জনের সঙ্গে সে একই মেসেজ দেওয়া নেওয়া করতো। পাওলিনির গতিবিধি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ইউএইচ/
Leave a reply