স্টাফ রিপোর্টার:
মোবাইল ফোনের দোকানের ভিজিটিং কার্ড এর সূত্র ধরে গত ১৩ জানুয়ারি (বুধবার) লালপুর থানাধীন পাটিকাবারি গ্রামের রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাতনামা মহিলার মরদেহ শনাক্তসহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ওই নারীর স্বামী আনছার শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গ্রেফতারকৃত আনছের শেখকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে প্রেস-ব্রিফিং-এ এমন তথ্য জানানো হয়। গতকাল শনিবার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনছের শেখ পাবনা জেলার চকবারেরা এলাকার মৃত ভানু শেখের ছেলে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৩ জানুয়ারি লালপুর থানাধীন পাটিকাবারি গ্রামের রেল লাইনের পাশ থেকে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লালপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে। এরপরে জেলা পুলিশ মরদেহের কাছে থাকা ঢাকার একটি মোবাইল ফোন দোকানের ভিজিটিং কার্ড পেয়ে মরদেহের পরিচয় উদঘাটন করতে মাঠে নামে। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক অভিযান ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় পুলিশ জানতে পারে যে, মরদেহটি রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভা এলাকার নারায়নপুর মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে শম্পা খাতুনের। এরপর আরও অধিক তদন্তের মাধ্যমে শম্পা খাতুনের স্বামী আসামী আনছার শেখকে শনাক্ত করে পুলিশ। গতকাল শনিবার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার ও শম্পা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানতে পারে যে পারিবারিক বিরোধের জেরে শম্পা খাতুন বাড়ি থেকে চলে যায়। গত ১৩ জানুয়ারি লালপুর থানাধীন পাটিকাবারি গ্রামের রেল লাইনের পাশে বসে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনছার শেখ স্ত্রী শম্পা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
Leave a reply