নোয়াখালীর বসুরহাটে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিনেমা হল গলিতে এসে শেষ হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা ‘নিক্সনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলে তারা আরও বলেন, ‘কাদের মির্জা ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’ বক্তারা নোয়াখালীকে নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করায় নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় এবং অতি শীঘ্রই নিক্সন চৌধুরীকে নোয়াখালীর মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এর আগে বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সর্বসাধারণ বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রোমেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে কটূক্তি করার জেরে নোয়াখালীতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে কাদের মির্জার সমর্থকরা। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এর আগে, সোমবার ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যের কড়া জবাব দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, শেখ পরিবারের নিক্সন চৌধুরীর মুখে এসব মানায় না। সোমবার বিকেলে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নিক্সন চৌধুরীকে জবাব দেন কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা বলেন, আপনার (মজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী) কথা বলে আমাকে ভাইরাল হওয়ার দরকার নেই, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমি আগেই ভাইরাল হয়েছি।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, আপনার কথা বলে আমাকে ভাইরাল হওয়ার দরকার নেই। আমি আমার মানুষের কথা বলে, আমি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভাইরাল হয়েছি। আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ভাইরাল হয়েছি। আপনার মতো লোকের কথা বলে ভাইরাল হওয়ার দরকার নেই আমার।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নেতারা ভোট নেয়ার জন্য অনেক কথা বলেন- নির্বাচন গেলে সব ভুলে যান। আমি পৌরসভার উন্নয়নের জন্য যতগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমার পরিষদকে নিয়ে সব পূরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভিন, নবনির্বাচিত কমিশনার ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মাকসুদা আকতার হ্যাপি, কাউন্সিলর এবি সিদ্দিক প্রমুখ।
Leave a reply