Site icon Jamuna Television

ভৈরবে যাচাই-বাছাই কমিটির মুখোমুখি হবেন ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধা

প্রতীকী ছবি।

ভৈরব প্রতিনিধি:

চলতি মাসের ৩০ জানুয়ারি ভৈরবের ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাই কমিটির মুখোমুখি হতে হবে। তালিকায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন বলে জানান কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা।

গত ৯ জানুয়ারি দেশের সকল জেলা উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিল। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তারিখ পিছিয়ে আবারও আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে। সেইমতে ধার্য তারিখে জামুকার নির্ধারণকৃত ভৈরবের ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই হবে।

যাদের যাচাই-বাছাই হবে তারা অনেকই ভাতাসহ সরকারের সকল সুবিধা পাচ্ছে বলে জানা গেছে। আবার অনেকেই ভাতা পাচ্ছেন না এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সনদ নেই এমন নামও তালিকায় রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, তালিকা অনুযায়ী ভৈরবের ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সত্যতা ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাই করা হবে। এদিন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জামুকা নির্ধারিত একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।

যাচাই-বাছাইয়ের সময় তারা ৩৩টি প্রমাণের মধ্য যেকোনো এক দু’টি প্রমাণ করতে হবে। কাগজপত্রে প্রমাণ করতে না পারলে ভৈরব উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য যেকোনো তিনজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। কেউ মিথ্যা সাক্ষী দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রমাণের মধ্য অন্যতম হলো ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, ২০১১ সালের আগে না পরে বেসামরিক গেজেট হয়েছে তার প্রমাণ ইত্যাদি দাখিল করতে হবে।

ভৈরব উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ৫৬ জনের তালিকায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম দেখেছি। আবার কেউ কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এমনও রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার সঠিক তালিকা আজও কোন সরকার শেষ করতে পারেনি।ভৈরবের অনেকের নাম, বাবার নামসহ ঠিকানা বিভিন্ন তালিকায় ভুলভাবে ছাপা হয়েছে। একারণে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই- বাছাইয়ের তালিকায় পড়েছে। আমরা চাই, যাচাই-বাছাইয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যেন বাদ না পড়েন। তার দাবি, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রমাণ দিতে না পারলে এদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হোক।

Exit mobile version