টানা দ্বিতীয় জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ

|

উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সকালে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলার বোলারদের ঝাঁঝালো বোলিংয়ে ১৪৮ রানেই থেমে যায় উইন্ডিজের ইনিংস। জয়ের জন্য ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বেঙ্গল টাইগাররা। সেই সাথে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট যুক্ত হলো টাইগারদের খাতায়।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের দেওয়া ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে দারুণ পারফর্ম করা লিটন ফিরে যায় ২২ রানে। অ্যাকিল হোসেইনের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন লিটন। এরপরে শান্তকে নিয়ে জুটি বাঁধেন তামিম ইকবার। তবে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ওটিলের বলে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন শান্ত।

এরপর তামিম ও সাকিব মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টায় থাকলেও ব্যক্তিগত ৫০ রানে রেইফিরের বলে কাট করতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। পরে মুশফিককে সাথে নিয়ে দলকে জেতানোর দায়িত্ব ঘাড়ে নেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত সাকিবের অপরাজিত ৪৩ ও মুশফিকের আনবিটেন ৯ রানের উপর ভর করে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ।

সকালে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেবার কাজ শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। সুনীল অ্যামব্রিজকে ব্যক্তিগত ৬ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান কাটার মাস্টার। তার সাথে তাল মিলিয়ে দলীয় ৩৬ ও ৩৭ রানে ওটিলে ও সিলভাকে কাবু করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন মেহেদি মিরাজ।

এর পরেই মিরাজ ও মোস্তাফিজের সাথে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। অতিথিদের ব্যাটিং শিবিরে আঘাত হেনে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখার আভাস দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আর দলীয় ৪১ রানে মায়ার্স রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় টাইগাররা।

উইন্ডিজ যখন ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের বোলিং ফাঁদে হাবুডুবু খাচ্ছে ঠিক তখনই আরও একবার সাকিবের ছোবলে মাঠ ছাড়েন প্রতিপক্ষের ক্যাপ্টেন জেসন মোহাম্মাদ।

থেমে থাকেননি গেল ম্যাচে তিন উইকেট নেয়া হাসান মাহামুদও কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চাওয়া বোনারকে ব্যক্তিগত ২০ রানে পরিষ্কার বোল্ট করে গুড বাই জানান এই পেসার। উইন্ডিজ পরিণত হয় ৭১ রানে ৭ উইকেটে।

কিছুটা সময় বিরতীতে থেকে আবারও মিরাজ ফিরে আসেন নিজের রূপে। এবার তিনি শিকার করেন রেমন রেফারকে। দলীয় ৮৮ রানে মিরাজের বলে লেগ বিফোর দ্যা উইকেট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দলীয় ১২০ রানে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আলজারি জোসেফ।

রোভম্যান পাওলের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের ঘরে রান তুলতে সক্ষম হয় উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। দলের পক্ষে সর্বচ্চো ৪১ রান করে মেহেদি মিরাজের শিকার হন এই ব্যাটসম্যান।

টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। চার উইকেট শিকার করেছেন আগের ম্যাচে ১ উইকেট পাওয়া মেহেদি মিরাজ। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ১টি উইকেট।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply