বেশ কিছুদিন হয় মিরাজকে নিয়ে চলছে আলোচনা সুলোচনা। তার বোলিংয়ের ধার আগের মত আর নেই এই প্রসঙ্গে নানান কথা হচ্ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও। তারই জবাব হিসেবেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে সবাইকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিলেন মিরাজ।
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২৫ রান দিয়ে দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তুলে নিয়েছে একে একে চার উইকেট। প্রথম ম্যাচে মিরাজ শিকার করেছিলেন এক উইকেট। তবে মিরাজের এই পরিবর্তনে অবদান রয়েছে সাকিব তামিমদের।
সিরিজ জয় মেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সাকিব ভাইয়ের পরামর্শ খুব কাজে লেগেছে আমার, ম্যাচের সময় তিনি আমাকে বলছিলেন লেফটি ব্যাটারকে লেগ মিডেলে বল করতে তাহলেই কার্যকারী বোলিং করা যাবে। তার কথায় আমি সেভাবেই বোলিং করা শুরু করেছিলাম আর তাতেই সাফল্য এসেছে।
মিরাজ উচ্চারণ করেছেন লোকাল কোচ সোহেল খানের কথা। যখন বোলিংয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলেন তখন এই সোহেল খান স্যার আমার বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করেছেন এবং আমার চাইতে বেশি পরিশ্রম করেছে তিনিই।
এই জন্য আমি তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে তামিম ও রিয়াদও তাকে কক্ষপথে ফিরে আসতে সহযোগিতা করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, অনেকদিন পরে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে পুরষ্কার পাওয়ায় বেশ আনন্দিত মিরাজ।
বিশ্বসেরা বোলারদের মধ্য মিরাজের স্থান এখন ১৩ নম্বরে। সিরিজের আগে দলে সুযোগ পাওয়ার আশা বেশ কম ছিলো মিরাজের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ৯.৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রান খরচায় মূল্যবান ৪টি উইকেট শিকার করেন মিরাজ। তাতেই এক রকম দলে তার জায়গা প্রায় পাঁকাই হয়ে গেলো।
দল সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দলগত চেষ্টাটা বেশ ভালো। অনেকদিন হলো আমরা একসাথে খেলছি তাই আমাদের মাঝে বোঝাপড়া বেশ ভালো। সেই কাড়নেই ম্যাচে কখন কি করতে হবে সেটা আমরা ভালো করেই জানি।
উইন্ডিজের এই দলটা দুর্বল হলেও মুল দলের সাথে আমরা টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছি আর শেষ দুই জয় উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ৭ ম্যাচের জয় আমাদের। আশা করি চট্টগ্রামের ম্যাচেও নিজেকে মেলে ধরতে পারবো ও দলের জয় অবদান রাখতে পারবো।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ জানুয়ারি সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
Leave a reply