আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করার পর সুর পাল্টেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, যদি ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন, আমি অনুরোধ করবো কেউ আর প্রতিবাদ করবেন না।
তীব্র প্রতিবাদের মুখে শুক্রবার ফেসবুকে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, কোনো ধরনের গণজমায়েত করবেন না। আমরা দলের বিরুদ্ধে এইগুলো করলে দলের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, আমরা ভালোবাসি শেখ হাসিনাকে, আমরা ভালোবাসি নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ধরে রাখতে হয় প্লিজ গুঁতাগুঁতি আর না।
ওবায়দুল কাদেরকে হেয় করে মন্তব্য করেননি দাবি করে তিনি বলেন, আমি কালকে রাতে একটা স্ট্যাস্টাস দিয়েছিলাম। সেটা মির্জা কাদেরকে বুঝিয়েছি। ওবায়দুল কাদের ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মির্জা কাদেরের পরিবারটা হলো মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী।
নোয়াখালীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি মির্জা কাদের আমার বিরুদ্ধে যা করেছেন, আমার গালে গালে জুতা মেরেছেন। আমার গত ১৮ বছরের কষ্টের সাধনা আমি আওয়ামী লীগকে এই পর্যন্ত এনেছি নোয়াখালীতে। সেই আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী হিসেবে জুতা মেরেছেন। এটার প্রতিবাদে আপনারা যেভাবে রাস্তাঘাটে নোয়াখালী আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছিলেন, সারা নোয়াখালী আওয়ামী লীগ যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে গেছেন আমি আজকে আপনাদেরকে দিকনিদের্শনা দিচ্ছি, দয়া করে পার্টি প্রধানকে যদি ভালোবাসেন, যদি ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন, আমি অনুরোধ করবো কেউ আর প্রতিবাদ করবেন না। কোনো ধরনের গণজমায়েত করবেন না। আমরা দলের বিরুদ্ধে এইগুলো করলে দলের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, আমরা ভালোবাসি শেখ হাসিনাকে, আমরা ভালোবাসি নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে।
শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ধরে রাখতে রাখার কথা বলে তিনি বলেন, প্লিজ গুঁতাগুঁতি আর না। মির্জা সাহেব এমন কোনো ব্যক্তি না যে উনার সাথে ফাইট করতে হবে। আমাদের যদি কোনো ধরনে গ্যাপ থাকে আমাদের নেতারা ডেকে মিনিমাইজ করে দিবে এটাই আমার আশা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে সাংসদ একরামুল ফেসবুক লাইভে দেওয়া সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলবো না। আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলবও। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করবো।
একরামুল করিমের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রচারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়। তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে এবং গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা শহরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
Leave a reply