বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সময় বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের স্ত্রীর উপর হামলা ও ডিম নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বরগুনা পৌর মার্কেটের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী হেনারা বেগম, ইভা মনি ও তামান্না লাবনী নামের তিনজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে হেনারা বেগম জানান, প্রতিদিনের মত তিনি তার স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচারণার জন্য পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে যান। এসময় তার বোনের দুই মেয়ে ইভা মনি ও তামান্না লাবনীসহ আরও কয়েকজন নারী সমর্থক সাথে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রেসক্লাব গলিতে প্রচারণার সময় মুখে রুমাল বাঁধা অজ্ঞাত এক যুবক তাদের লক্ষ্য করে উপর্যপুরি ডিম ছুড়তে থাকে। ঘটনার আকষ্মকিতায় হতভম্ব হয়ে যান তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই যুবক ডিমের খাঁচা দিয়েই তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে সেখানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবায়ের আদনান অনিক ও তানভীর হোসাইন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে খবর পেয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম, পরিদর্শক শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী হেনারা বেগম অভিযোগ- আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, বর্তমান মেয়র বরগুনার ঐতিহ্যবাহী পৌর মার্কেটকে কুক্ষিগত করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা তার দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রচারকদের লাঞ্ছিত করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা আমার সমর্থকরা কেউ জড়িত নয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে শাহাদাত হোসেন কালো টাকা ঢেলে দিয়েছেন। এর ফলে নির্বাচন প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়াও নিত্য নতুন কৌশলে তিনি শুধু আমার এবং আমার নেতাকর্মীদের উপরেই একের পর এক অপবাদ দিচ্ছেন। যেখানে বিএনপিসহ অন্য আরও সাতজন মেয়র প্রার্থীর আমার উপরে একটিও অভিযোগ নেই, সেখানে আমার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গুজব ছড়াচ্ছেন শাহাদাত হোসেন। তাই আমি এর প্রতিকার চাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক প্রার্থী যাতে নিরাপদে প্রচারণা চালাতে পারেন সে জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার পুলিশ সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
Leave a reply