তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে উইন্ডিজকে ২৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে টাইগাররা। দলের হয়ে অর্ধশতক করেছেন টাইগারদের চার পান্ডব তামিম,সাকিব,রিয়াদ ও মুশফিক। সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো সাকিব বাদে বাকি তিনজনই করেছেন ৬৪ রান করে।
চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই বোলারদের সহায়তা করে থাকে তাই টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানাতে ভুল করেনি উইন্ডিজ। ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই হতাশ করে লিটন দাস। দলীয় এক রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান। শূন্য রানে লিটনকে ফিরিয়ে দেন উইন্ডিজের পেসার জোসেফ।
একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিম সিরিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নিলেও সাকিবের জায়গায় ব্যাট করতে নামা নাজমুল হাসান শান্তও হতাশার সাগরে ডুবিয়েছে ভক্তদের। মায়ার্সের বলে মাঠ ছাড়েন মাত্র ২০ রান করে।
দলীয় ১৩১ রানে জোসেফের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যাক্তিগত ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। তবে এই রান করতে তামিমকে খেলতে হয়েছে ৮০ বল, যেখানে স্ট্রাইকও রেট ছিলো ৮০।
তামিম ফিরে যাবার পর দলের দায়িত্ব হাতে নেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। যদিও ব্যাক্তিগত ৫১ রানে উইন্ডিজ বোলার রেফারের দারুণ এক ডেলিভারিতে মাঠ ছাড়তে হয় সাকিবকে। তারপরও এই ম্যাচে দেশের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ হাজারের বেশি রান করেন মিস্টার আল হাসান।
ফিফটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখায় বড় রান করতে পারেনি এই দুই ব্যাটার। তবে এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে সেটিকে কাজে লাগিয়েছে এই দুই সিনিয়র।
ব্যাট হাতে ১১৮ স্ট্রাইক রেটে মুশফিক করেন ৬৪ রান। এই ইনিংসটি তিনি সাজান ৪ টি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৯ তম ফিফটি করে মুশফিক আউট হয়েছেন উইন্ডিজ বোলার রেফারের বলে।
তবে ব্যাট হাতে রিয়াদ ছিলেন অপরাজিত, মুশফিক ফিরে যাবার পর সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে জুটি বাঁধেন তিনি। ব্যাক্তিগত ৭ রানে সৌম্য ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন রিয়াদ।
শেষ দিকে ২ বল মোকাবেলা করে অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ফলে চার পান্ডবের ব্যাটে ভর করে ২৯৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
Leave a reply