শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকা এ নির্বাচন নিয়ে একুশ দিন ধরে চলে জোর প্রচার।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এ দিন বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল বন্দরনগরীতে। বিক্ষিপ্ত সহিংসতাও ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। কাউন্সিলর প্রার্থী আটকের ঘটনাও ঘটে।
জনগণের রায়ে বিশ্বাসের কথা জানান আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ছিল অভিযোগ। তারা জাল ভোট, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মেয়র পদে ৭ জন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেবল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।
এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ২২৫ জন।
চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ আর নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
Leave a reply