ফ্রান্স পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ, সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ

|

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে শ্রেণী ও বর্ণ বৈষম্য করার অভিযোগ উঠলো ফ্রান্সের পুলিশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে হয়রানি-বিদ্বেষের মামলা ঠুকেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ৬টি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের অভিযোগ, পুলিশি নজরদারির ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে; হয়রানি করা হচ্ছে অশ্বেতাঙ্গ-সংখ্যালঘু এবং অভিবাসীরা।

মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন এবং ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের কারণে গেলো অক্টোবরে বয়কট ফ্রান্স আন্দোলনে উত্তাল ছিলো গোটা মুসলিম বিশ্ব। এবার ফরাসি সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এমনকি ম্যাকরন সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে মামলাও।

বুধবার, ১৪৫ পৃষ্ঠার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’সহ ৬টি বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ, সংখ্যালঘু ও অভিবাসীরা। পুলিশি নজরদারির তালিকাতেও তাদের অবস্থান শীর্ষে। কোন অপরাধ ঘটলেই পড়তে হয় হয়রানিতে।

এনজিওর আইনজীবী অ্যান্তোনি লিয়ন-কাইন বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো পরিচয় যাচাই করা অপমানজনক। শুধু আফ্রিকান, আরব বা কৃষ্ণাঙ্গরা ছাড়া; গণহারে সবাইকে নজরদারির তালিকায় রাখলে- এ প্রশ্নই উঠতো না। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বৈষম্যের শিকার বেশিরভাগই তরুণ বা কিশোর। হয়রানির শিকার হয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছে তারা; ভবিষ্যতে জড়াচ্ছে অপরাধকাণ্ডে।

পুলিশের এমন আচরণে বিরক্ত প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনও। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলোর দাবি, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ ভিত্তিহীন; এতে বাধাগ্রস্ত হবে অপরাধ দমন কর্মকাণ্ড।

ফরাসি পুলিশ কর্মকর্তা স্ট্যানিস্লাস গাউডন বলেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কি মনে হয়, পুলিশ অন্য কাজ রেখে শুধু কৃষ্ণাঙ্গ-আরব-এশীয়দের পরিচয় যাচাইয়ে ব্যস্ত থাকে। এটি, তাদের ভ্রান্ত ধারণা। এমন অভিযোগ পুলিশি দায়িত্বকে আরও কঠিন করে তুলবে। কারণ, অপরাধের ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য নেই ফ্রান্সে।

ফরাসি পুলিশের বিরুদ্ধে, কৌশলগত বৈষম্যের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু, দৈনিক সংবাদপত্র ফ্রান্স ডেইলি লিবারেশনের তথ্য অনুসারে, ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৯ বার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। যা, কখনোই গড়ায়নি সর্বোচ্চ শাস্তি পর্যায়ে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply