মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভুল করে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার ৪ দিন পর নষ্ট হয়ে গেলো জিয়াসমিনের গর্ভের সন্তান। শনিবার রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আরশ্বাদ উল্লাহ।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত থেকেই গর্ভবতী জিয়াসমিনের আবারও রক্তক্ষরণ এবং তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
গত মঙ্গলবার রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তার। তার পাশের বেডের এক গর্ভবতীর মৃত সন্তান হওয়ায় তাকে গর্ভপাত ঘটানোর কথা ছিলো। কিন্তু হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী ফাতেমা আক্তার ভুলক্রমে জিয়াসমিনকে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে গা-ঢাকা দেন ফাতেমা আক্তার। পরে জিয়াসমিনের চাচা লুৎফর রহমান এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে জিয়াসমিনের গর্ভের সন্তানের বয়স ৫ মাস দাবি করা হলেও, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, অল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী সন্তানের বয়স হবে তিন মাস।তিনি আরও জানান, জিয়াসমিন রক্তক্ষরণ ও তলপেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ধরণের কেসকে চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় থ্রেড এন্ড অ্যাবরশন। তাই শুরু থেকেই তার সন্তান ঝুঁকির মধ্যে ছিলো।
Leave a reply