করোনাভাইরাসের টিকা রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দেয়ায় ইইউ’র ওপর ক্ষুব্ধ ব্রিটেন ও ডব্লিওএইচও। মহামারি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের বদলে, ভুল করছে জোট– এমন প্রতিক্রিয়া যুক্তরাজ্যের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাওবলছে- ক্রান্তিলগ্নে টিকা জাতীয়করণ করা হলে দীর্ঘায়িত হবে মহামারি। অবশ্য, ইউরোপীয় জোটের সাফাই- সিদ্ধান্তটি অস্থায়ী এবং গ্রেট ব্রিটেনের একাংশ ও আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সম্প্রতি, প্রতিষেধক সরবরাহ ধীরগতির হয়ে পড়ায়, জোটের সদস্যরাষ্ট্রগুলোয় উৎপাদিত ভ্যাকসিন রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জানায়- আর্টিকেল সিক্সটিন অনুসারে- নিজেদের স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দিতেই এ অস্থায়ী সিদ্ধান্ত।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান মুখপাত্র এরিক মামের বলেন, কমিশন এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার মধ্য আগেই চুক্তি হয়েছিলো। সে অনুসারে, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিবে, সুইডিশ-ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটি। ফেব্রুয়ারি নাগাদ, বর্হিবিশ্বে ৮ কোটি ডোজের বেশি টিকা সরবরাহের কথা ছিলো। কিন্তু, ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে- ইউরোপের বাইরে ৩ কোটির মতো ডোজ পাঠাতে পারবে। এছাড়া, ব্রিটিশ এবং আইরিশ সীমান্তে প্রতিষেধক রফতানিতে আরোপিত হলো নিয়ন্ত্রণ। তবে, সেটা অস্থায়ী সিদ্ধান্ত।
ইউরোপীয় জোটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বর্হিবিশ্ব। ডব্লিওএইচও ও ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্যে, তাতে দীর্ঘায়িত হবে মহামারি পরিস্থিতি।
ডব্লিওএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, টিকা জাতীয়করণ করা হলে মহামারির অবসান হতে আরও সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক ঐক্যের ওপর থেকে আস্থা হারালে; মূল্য চুকাতে হবে সবাইকে। ভ্যাকসিন মজুদের সুযোগে বিস্তার ঘটাবে কোভিড নাইনটিন। বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতিও ধীরগতির হয়ে পড়বে। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে বৃদ্ধি পাবে- বৈষম্যেও।
ব্রিটেনের কেবিনেট সদস্য মাইকেল গোভ বলেন, টিকা রফতানি সীমিতকরণের ব্যাপারে ব্রিটেন বা নর্দান আয়ারল্যান্ডের সাথে কোন আলোচনাই করেনি, ইইউ। জোট যে কতো বড় ভুল করলো, সেটা কিছুদিনের মধ্যেই তারা টের পাবে। কারণ, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সাথে চুক্তির ভিত্তিতেই আমরা ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি। সময়মতো সেটি সরবরাহ না করা হলেই, আইনি জটিলতায় ফাঁসবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
টিকা রফতানির ওপর ইইউ’র নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শতাধিক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Leave a reply