দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের পর অং সান সুচির নেতৃত্বে মিয়ানমারে গণতন্ত্র এলেও টেকসই হলো না ৬ বছরও। থমথমে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শঙ্কা আবারও কি সেনা শাসনের যুগে ফিরছে দেশটি?
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এলেও কখনওই সেনাদের প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি সুচি প্রশাসন। গত কয়েক বছরে সেনাদের সাথে দূরত্ব বাড়ছিল বেসামরিক প্রশাসনের। যার জেরেই বর্তমান পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জান্তা সরকারের ৫০ বছরের শাসনামলে শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে উঠেছিলেন সুচি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই তাকে পরিণত করেছিল বিশ্ব আইকনে। ২০১৫ সালে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসেন অং সান সুচি।
অবশ্য ক্ষমতায় এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী শান্তির দূত রূপে দেখা যায়নি নোবেলজয়ী সুচিকে। বিশেষ করে জাতিগত দাঙ্গারোধে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা নিধনের দায় মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাঠগড়ায়। সাফাই গেয়েছেন সেনাবাহিনীর কুকর্মের পক্ষেই। অবশ্য নিজ দেশে এখনও একচ্ছত্র জনপ্রিয়তা ৭৫ বছর বয়সী সুচির। যার নজির দেখা গেছে সবশেষ নির্বাচনেও।
Leave a reply