‘ফরেনসিকে ধর্ষণের আলামত নেই’; কীভাবে মৃত্যু হলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর?

|

রাজধানীতে গতকাল মারা যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ ও মাদক সেবনের কথা বলছে পুলিশ। তবে, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দেহে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের কোনো আলামত মেলেনি। কী কারণে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিসি মিডিয়া ওয়ালিদ হোসেন। তিনি জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আটক দুই বন্ধুকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার আটক দুই বন্ধুর ৫ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত। এর আগে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবীসহ ৪ বন্ধু ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে মেয়েটির পরিবার।

পুলিশ জানায়, প্রথমে বন্ধুদের নিয়ে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রী। সেখানে সবাই মিলে মদ পান করে, এরপর রেস্টুরেন্ট থেকে সবাই এক বান্ধবীর বাসায় যায়। পরিবারের অভিযোগ, এ বাসাতেই ধর্ষণ করা হয় ঐ ছাত্রীকে। শনিবার অসুস্থ অবস্থায় ঐ তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করে বন্ধুরাই। সেদিনই মদ্যপানের বিষক্রিয়ায় মারা যায় মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি ও ওই ছাত্রীর বন্ধু। আর রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ঐ তরুণীর।

মোহাম্মদপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর সম্মতিতেই অভিযুক্তের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তাদের মাঝে এরআগেও একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত। একইসাথে, ওইদিন সবাই মিলে মদ্যপানের কথাও স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।

ভেজাল মদ্যপানের ফলে বিষক্রিয়ায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে কিনা সে প্রশ্নও এখন ঘুরেফিরে আসছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply