মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে পরস্পর বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্রীপন্থী সু চি’কে আটকের খবরে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত সেনা অভ্যুত্থানে আটককৃত বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দেয়া আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, চীন কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এ ঘটনায় দ্রুতই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেনমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আমরা মিয়ানমারে আটক সকল নেতাদের মুক্তি আশা করছি। সেইসাথে নভেম্বরে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে বার্মার জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ সু চি গণতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচিত নেতা।
একইসাথে, দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রতি স্বাধীনতা, শান্তি এবং উন্নয়ন বজায় রাখারও আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন।
এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে চীনের প্রতিক্রিয়া সংযত। দেশটি জানিয়েছে, তারা এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মিয়ানমারে কী ঘটেছে, তা আমরা লক্ষ করেছি এবং এখন আমরা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও জানছি। চীন মিয়ানমারের প্রতিবেশী বন্ধু। আমরা আশা করি, সংবিধান এবং আইন মেনে সব পক্ষ সঠিকভাবে তাদের বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।
মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। দেশটির খনি, অবকাঠানো এবং গ্যাস পাইপলাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলছিল। তার ফলাফল হিসেবে বেসামরিক নেতৃবৃন্দকে আটক করে ক্ষমতা দখল করেছে সামরিক বাহিনী।
Leave a reply