সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। তার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নিতে আমি লোকজনকে আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তরিকভাবে সবাই এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সূত্র: এনবিসি নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান।
সু চি’কে আটকের পর এনএলডির চেয়ারম্যান উইন হেইন একটি বিবৃতি জারি করেছেন। তার হাতে লেখা ওই বিবৃতিকে নির্ভরযোগ্য এবং এটি সু চি’র ইচ্ছার প্রতিফলন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। এনএলডি চেয়ারের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিবৃতিটি দেয়া হয়েছে। উইন হেইনের দাবি, আমার জীবনের দিব্যি দিয়ে বলছি এটা অং সান সু চি’র নির্ভরযোগ্য বিবৃতি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে আবার জান্তা শাসন কায়েম করার চেষ্টা করছে। এটি মেনে না নেওয়ার জন্য আমি জনগণের কাছ অনুরোধ জানাই।
মিয়ানমারের জনগণের উদ্দেশে সু চি বলেন, সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই।
সু চির বিক্ষোভের ডাকে দেশটির অনেক মানুষ সাড়া দেবেন বলে মনে করেন মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের জনগণ ফের পুরোপুরি জান্তা শাসনে ফিরতে চাইবেন না।
দেশটির সামরিক টেলিভিশনে আজ সোমবার সকালে ঘোষণা করা হয় যে সেনাবাহিনী দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। তারা এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য তারা বেসামরিক সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বাধাগ্রস্ত করছে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বন্ধ করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচার। কারণ বলা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটি। বন্ধ করা হয়েছে ব্যাংকিং সেবাও।
Leave a reply