পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর পৌর যুবলীগের সভাপতি জাকি হোসেন জুকু খান ও তার দু’সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ফেরদৌস মিয়া এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন। জুকু আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।
এর আগে ১৮ মার্চ ২০২০ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে শহরের রহমতপুর এলাকার মো. কামাল হোসেন বাদি হয়ে জাকি হোসেন জুকু খান এবং তার সহযোগী মোশারেফ হোসেন ও ফয়সাল’র বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতকে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলায় বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), পটুয়াখালীকে অনুসন্ধানপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর এম এ সোবাহান, পুলিশ পরিদর্শক, পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১ মার্চ ২০২০ দুপুরে বাদি (কামাল হোসেন) ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর জুকু খান ও তার সহযোগীরা তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারার পর তাকে টেনে হিঁচড়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে অপহরণ করে জুকু’র মালিকানাধীন খান এন্টারপ্রাইজে নিয়ে যায়। সেখানে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কলাপাড়া শাখার হিসাব নং-৪৯০ এর অলিখিত ৫টি চেক, যাহার নম্বর ৮৫৪৪৯১৭, ৮৫৪৪৯১৯, ৮৫৪৪৯২০, ৮৫৪৪৯২৩ এবং ৮৫৪৪৯২৪ এ জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং ৩টি অলিখিত রেফ কাগজে এবং ৩টি ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়া বাদিকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। বাদি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করিয়ে ওই দিনই কলাপাড়া থানায় এ বিষয়ে ৪৫ নম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। অতঃপর ২ মার্চ ব্যবস্থাপক ইসলামী ব্যাংক বরাবর লিখিতভাবে বাদি উক্ত হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে ১ নং বিবাদী (জুকু খান) উক্ত চেকের মধ্য থেকে চেক নং-৮৫৪৪৯১৭ এ এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা এবং চেক নং-৮৫৪৪৯১৯ এ এক কোটি চৌত্রিশ লক্ষ টাকা লিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করেন। যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২ মার্চ পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এবং লেনদেন বন্ধ থাকায় চেক দু’টি প্রত্যাখ্যান করেন।
ইউএইচ/
Leave a reply