দারুণ খেলছিলেন তিনি। নিখাদ টেস্ট ইনিংস যাকে বলে। ১৫৪ বল খেলে ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে করে ফেলেছিলেন ৫৯ রান। চা বিরতির ঠিক এক ওভার আগে জোমেল ওয়ারিক্যানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে শেষ হয় দারুণ এক ইনিংস যেটি আরও বড় হতে পারতো। বলা হচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে টাইগারদের আস্থার প্রতীক হয়ে ক্রিজে থাকা সাদমান ইসলামের কথা।
বুধবার চট্টগ্রামে শুরু থেকেই কয়েকবার হোঁচট খেয়েছে টাইগাররা। প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে শুরুটা স্বস্তিদায়ক হয়নি ওপেনার তামিম ইকবালের। মাত্র ৯ রানে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হলো। এরপর ধকলটা ভালোমতোই সামাল দিচ্ছিলেন তরুণ সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনে সেটও হয়ে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে এক রানআউটে সেশনের নিয়ন্ত্রণ এলোমেলো হয়ে গেলো। ২৫ রানে শেষ হলো শান্তর ইনিংস।
এরপর ক্রিজে নেমে দলকে শতক পার করান অধিনায়ক মুমিনুল। অপরপ্রান্তে আস্থার প্রতীক হয়ে সাদমান তো ছিলেনই। দলীয় ১১৯ রানের সময় জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে জন ক্যাম্পবেলের তালুবন্দী হন মুমিনুল। তখন তার ব্যক্তিগত রান ছিল ২৬। এরপর ১৩৪ রানের সময় সাদমানের বিদায়ে অস্বস্তি নিয়েই চা বিরতিতে গেলো টাইগাররা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উইকেটে উইকেটে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
তামিমের কাছে হারানো রেকর্ড দিনে দিনেই পুনরুদ্ধার করলেন মুশি। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক রানের রেকর্ডটি সকালেই মুশির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। ৭০ টেস্টে মুশফিক করেছিলেন ৪৪১৩ রান। ৬১ নম্বর টেস্টে তামিমের রান দাঁড়ায় ৪৪১৪। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেটি আবার নিজের করে নিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’।
Leave a reply