উইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রানে দিন শেষ করে সফরকারীরা। এর আগে মিরাজের সেঞ্চুরি আর সাকিব, সাদমানের ফিফটি তে ৪৩০ রানে অল আইট হয় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দিনের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি টাইগারদের। আগের দিনের করা ২৪২ রানের সাথে মাত্র ৬ রান যোগ করেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন লিটন। ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হবার আগে লিটন করেছিলেন ৩৮ রান।
এরপরেই সাকিবের সাথে যোগ দেন মিরাজ। মিরাজকে নিয়ে বেশ ভালোই এগুচ্ছিলেন টাইগারদের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে দলীয় ৩১৫ রানে ছন্দ পতন ঘটে সাকিব-মিরাজের জুটির। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে সাকিব ফেরেন কর্নওয়ালের বলে। ১৫০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাকিব সাজান তার ইনিংস।
সাকিব যাবার পরে মিরাজের সঙ্গী হন তাইজুল ইসলাম। ব্যাট হাতে মাত্র ১৮ রান করেই শিকার হন গ্যাবরিয়ালের। তবে মিরাজের সাথে জুটি বেধে সেঞ্চুরি করতে যহযোগিতা করেছে নাইম হাসান। নিজে ২৪ রানে ফিরে গেলোও টাইগারদের রান তখন ৪১৬ ক্রিজে আছেন ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ১০৩ রানে মিরাজ যখন ফেরেন তখন টাইগাররা পৌঁছে গেছে বড় সংগ্রহে।
৪৩০ রান যে কোন প্রতিপক্ষের জন্যই একটা বড় চাপ, সেই চাপ নিয়েই প্রথম ইনিংসে নেমে স্বাগতিক বোলারদের সামলাতে হিমশিম খায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। বল হাতে শুরুতেই মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে নাজেহাল উইন্ডিজের নরবড়ে ব্যাটিং লাইনআপ।
জন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেলে মোস্তাফিজ। তখন উইন্ডিজের রান ছিলো মাত্র ১১। এর পরে আবারও দ্যা ফিজের বলে ব্যক্তিগত ২ রানে মাঠ ছাড়েন মোসলে।
তবে দিন শেষে টাইগার বোলারদের বেশ ভালোই সামলেছেন উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে দুটি উইকেট হারালেও নতুন করে কোন উইকেট দেন নি টাইগার বোলারদের। তাই শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়েই শেষ করেন দ্বিতীয় দিনের খেলা।
Leave a reply