তার মধ্যে তামিম ও শান্ত আউট হন শুন্য রানে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই টাইগার ব্যাটারদের চেপে ধরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন উইন্ডিজের স্পিনার কর্নওয়াল। তিনি তুলে নিয়েছেন তামিম ও শান্তর উইকেট দুটি।
আর গ্যাবরিয়াল মাত্র ৫ রানে ফিরিয়েছেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা সাদমানকে। এরপরেই দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। তামিমের পরে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরমেট মিলিয়ে ১২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
দিন শেষে মুশফিক অপরাজিত রয়েছেন ১০ রানে আর টাইগারদের ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক অপরাজিত রয়েছেন ৩১ রান নিয়ে। তাদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৪৩ রান।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই টাইগারদের স্পিন ঘূর্ণিতে নাকানিচুবানি খেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ভুগিয়েছে সফরকারীদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড। দলের জন্য লড়াই করেছেন বুক চিতিয়ে। দ্বিতীয় সেশনেও ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
ব্ল্যাকউডের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়ে ৪২ রানে আউট হয়েছেন টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান জসুয়া দা সিলভা। তার আগে ব্লাকউডের সাথে সিলভা জুটিতে ফলোঅন এড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেটে ২৩২ রান তোলার পরও ফলোঅন এড়ায় সফরকারীরা।
ব্ল্যাকউ দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও মিরাজের আঘাতে ফিরতে হয় তাকে। মিরাজের লেন্থ বলে খোঁচা দিতে গিয়ে সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন ব্ল্যাকউড।
তবে ব্ল্যাকউড চলে যাওয়ার পর আর কোন ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি মিরাজদের সামনে। এর পরেই মিরাজের আরেক বলে কোন রান না করেই মাঠ ছাড়ের কেমার রোচ। তার পরের শিকার রাহকিম কর্নওয়াল। ২ রান করে মিরাজের ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত হয়ে সরাসরি বোল্ড হল কর্নওয়াল।
এরপ জামেল ওয়ারিকানকে ব্যাক্তিগত চার রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তাইজুল ইসলাম। ফলে ১৭১ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ, নাইম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। আর ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পরে বল হাতেও ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
Leave a reply