কালকিনির নিখোঁজ প্রার্থী ফিরে এসে যা জানালেন!

স্টাফ রিপোর্টার:

মাদারীপুরে নির্বাচনী মাঠ থেকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ঢাকায় ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালকিনির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ। রোববার সকালে কালকিনির দক্ষিণ কৃষ্ণনগরে নিজ বাড়িত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কালকিনির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে কালকিনি পৌর এলাকার ঝাউতলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান।

তাৎক্ষণিক সেখানে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিরউদ্দিন গাড়ি নিয়ে হাজির হন। পরে সেখান থেকে সবুজকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে পুলিশ সুপার গাড়িতে করে সবুজকে নিয়ে যান হয় ঢাকায়।

এর পরই সবুজের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সবুজকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ নিয়ে বিকেলে কালকিনি থানা ঘেরাও করে সবুজের স্বজন ও সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধরা। এসময় কালকিনি-ভুরঘাটা ও কালকিনি-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হয় অন্তত অর্ধশত মানুষ। ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু দোকানপাট। আড়াইঘন্টা চলা সংঘর্ষে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এদিকে সবুজ নিখোঁজ হবার ১৫ ঘণ্টা পর শেষ রাত দিকে নিজ বাড়িতে ফেরেন তিনি। এ ঘটনায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা। তার চান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তবে, অপহরণ বা নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

কালকিনির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ বলেন, কালকিনি থানার ওসির গাড়িতে করে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাই। পরে পুলিশ সুপারের গাড়িতে পুলিশ সুপার ঢাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে ওবায়দুল কাদেরর সাথে দেখা করতে বাধ্য করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বললেও জনগণের ইচ্ছায় নির্বাচনী মাঠে থাকার কথা জানান সবুজ।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানান, মেয়র প্রার্থী সবুজ নিজ বাড়িতে আছেন। তার কোন ক্ষতি হয়নি। তবে, পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, সবুজ ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং রাতেই ফিরে এসেছেন।