মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতায় কয়েক দিনে প্রাণ হারিয়েছে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা; গৃহহীন হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন’-এর প্রধান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন’- এর প্রধান তুন কিন অভিযোগ করলেন, রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানে নেমেছে সুচি প্রশাসন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সেনা অভিযানে চার শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ হারিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি-স্থাপনা। বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোন পরামর্শই মানছে না এনএলডি সরকার, সুচির অবস্থান পুরোপুরি সেনাবাহিনীর পক্ষে।
মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রাণে বাঁচতে সীমান্তে পাড়ি জমালেও, অমুসলিমদের রক্ষায় বেশ সোচ্চার সুচি প্রশাসন। রোববার থেকে, সরকারি উদ্যেগে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে চার হাজারের বেশি বৌদ্ধ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী নি পু দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোর কর্মীদের সর্বপ্রথম সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু, সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। রাখাইনের অমুসলিমদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা যদি সেখানে থাকতে চায়, তাহলে, উদ্ধারের ব্যাপারে জোর করছি না।
এমন অবস্থায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু বলেছেন, রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ঈশ্বর তাদের রক্ষা করুন, এই প্রার্থনা করি। বিশ্ববাসীকে বলবো, রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন, তাদের মানবাধিকার রক্ষা করুন।
আরাকান স্যালভ্যাশন আর্মি- এআরএস-একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সু চি সরকার।
Leave a reply