সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বাগলী শুল্ক স্টেশন এলাকা থেকে ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ২ জন নারী ও ১ জন পুরুষ।
মঙ্গলবার সকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, সুফায়রা (২০), রুবিনা (১৮) ও শাফায়েত (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বীরেন্দ্রনগরের ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া ভুয়া জন্ম ও নাগরিক সনদ তৈরি করে তিন বছর আগে সুফায়রা নামে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীকে গোপনে বিয়ে করেন। ফারুকের বিয়ের ৬ মাস পরেই তার ছোট ভাই মোবারকের কাছে তার শ্যালিকা (স্ত্রীর খালাতো বোন) রুবিনাকে একই কায়দা অবলম্বন করে বিয়ে দেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুই রোহিঙ্গা নারীর ভাইপো মোহাম্মদ শাফায়াত (রোহিঙ্গা) চট্টগ্রাম থেকে বাগলী এলাকায় আসলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পরে ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ শাফায়াতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল ঘটনা জেনে তাকে আটক করে রাখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি তাহিরপুর থানাকে জানায় স্থানীয়রা। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুফায়রা, রুবিনা ও শাফায়েতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া দুই রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করা ফারুক মিয়া (৩৫), ফারুকের ছোট ভাই মোবারক মিয়াকেও (৩২) আটক করে পুলিশ।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, আটককৃত তিন রোহিঙ্গাসহ পাঁচজনকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। দুই রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে ছয় মাস ও চার মাস বয়সী দুই শিশুকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply