কঙ্গোর রাজধানীতে দেখা মিললো দৈত্যাকার এক মনোলিথের। রহস্যময় ছাইরঙা ‘ধাতব দণ্ড’ বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশে হঠাৎ আবির্ভাব; হঠাৎ-ই হাওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বাড়ছে রহস্য।
মনোলিথ। অভিধানে যার অর্থ বিশালাকৃতির ধাতব টুকরো। সম্প্রতি দেশে দেশে এই মনোলিথ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এক রহস্যের নাম।
গেলো নভেম্বরে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের প্রত্যন্ত এক মরু অঞ্চলে হঠাৎ দেখা মেলে স্তম্ভের মতো রহস্যময় ধাতব পিণ্ডটি। কী এটি, কোত্থেকেই বা এসেছে, এমন নানা প্রশ্নের মাঝেই, দিন দশেকের মাথায় তা হয়ে যায় উধাও। এরপর একইরকম রহস্য নিয়ে মনোলিথ দেখা দেয় রোমানিয়া, তুরস্কসহ ইউরোপের অনেক জায়গায়। প্রতিটিতেই হঠাৎ আবির্ভাব, উধাও একইভাবে।
রহস্যঘেরা তেমনই এক পিণ্ডের দেখা মিললো কঙ্গোতে। তবে এবার আর কোন দুর্গম পাহাড় বা মরুতে নয়, মনোলিথ হাজির রাজধানীর বুকে ব্যস্ত রাস্তার ধারে। মনোলিথটির উচ্চতা ১২ ফুট।
আগন্তুক ঘিরে কিনসাশা শহরবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ।
স্থানীয়রা বলেন, এক সকালে উঠে দেখি লোকজন এখানে গর্ত খুঁড়ছে। আরেক সকালে দেখি এখানে এই ধাতব ত্রিভুজাকার বস্তুটি দাঁড়ানো। প্রথমে বুঝিনি এটা কী। অবাক হয়েছিলাম। পরে শুনলাম, মেয়র বলেছেন এটা রহস্যময় মনোলিথ।
“অনেকেই নজর পড়েছে জিনিসটার দিকে। যেহেতু জানে না এটা কী বা কিভাবে এসেছে এখানে, এ নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তো আছেই। এই জিনিসটার জন্য বসানো হয়েছে পুলিশি পাহাড়া।”
মনোলিথের আবির্ভাবকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীপ্রেমিরা মেলাচ্ছেন আর্থার সি ক্লার্কের উপন্যাস অবলম্বনে, ১৯৬৮ সালে নির্মিত স্ট্যানলি কুব্রিকের “২০০১: আ স্পেস ওডিসি’র সাথে। অনেকে বলেই বসছেন, এটি ভিনগ্রহের প্রযুক্তি।
কঙ্গোর বান্দালুনগোয়ার মেয়র গাইবেনে থিয়েরি বেলন জানান, এটা যে কেউ ইচ্ছে করে রাস্তার ধারে পুঁতে দিয়ে যায়নি। হুট করেই দেখা গেছে জিনিসটাকে। যেদিন দেখা গেলো তার আগের রাতেই আমি ওই জায়গা দিয়ে গেছিলাম। তখনও সেখানে এরকম কিছু ছিল না। পরদিন সকালেই জানতে পারি যে ওই জায়গায় অদ্ভুত কিছু মিলেছে।
অন্যান্য দেশের মতো অবশ্য লাপাত্তা হওয়ার সুযোগ পায়নি কঙ্গোর মনোলিথটি। তার আগেই এটিকে ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
এর আগে অনেকেই স্মৃতি রাখতে ছুঁয়ে দেখেন এটিকে, তোলেন সেলফিও।
Leave a reply