কাদের মির্জাকে নিয়ে বিবাদে নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সভাপতি-সেক্রেটারি

|

আমাকে হত্যার চেষ্টা চলছে: কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের সুপারিশ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

সভাপতি সেলিম গণমাধ্যমকে কাদের মির্জার অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একরামুল করিম চৌধুরী সেলিমকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের সুপারিশ বহাল আছে বলে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লাইভে এসে জানান।

শনিবার রাত ৯টা ২৭ মিনিটে একরামুল করিম চৌধুরী লাইভে এসে বলেন, নোয়াখালীবাসী আসালামুআলাইকুম। সেলিম ভাই ঢাকা থেকে এসে বলল মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সে হিসেব মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি জেলা আওয়ামী লীগ। আমার সভাপতি কী অবস্থানে আছেন জানি না, উনি নাকি বলছেন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন, ওনার অবস্থান, উনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা করল পরে উনি অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালো উনিও নীতিগতভাবে নীতিহীন হয়ে গেল। আমি আপনাদেরকে বলি, উনার অব্যাহতি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় সেসব কথাবার্তা হচ্ছে এগুলো ঠিক না। কারণ এ ধরনের লোককে দলের অবস্থানে রাখা উচিত না। তার অব্যাহতিটা বহাল রইল। সকলকে ধন্যবাদ, আসালামুআলাইকুম।

এদিকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন, আমি সশরীরে কাগজে স্বাক্ষর করি নাই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

উল্লেখ্য শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ করে আবার ২ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার নেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএএইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply