অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে সাংবাদিক ও সুন্দরবনের দস্যুদের আত্মসমর্পণে মধ্যস্থতাকারী মোহসীন-উল হাকিমের বই “জীবনে ফেরার গল্প”। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে গহীন অরণ্যে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে একজন মানুষের ‘একলা চলার’ সংগ্রামের গল্প উঠে এসেছে বইটিতে। এর পাতায় পাতায় উঠে এসেছে সুন্দরবনের মানুষের জীবনের নির্মম বাস্তবতা, রাজনীতি, গহীন বনে দস্যুদের রাজত্বের গল্প এবং অভ্যন্তরীণ অকল্পনীয় সব বাস্তবতা।
উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ সুন্দরবন ও সাগরের উপর নির্ভরশীল। মাছ, শুঁটকি, মধু, গোলপাতা, কাঁকড়া ও কাঠ সংগ্রহ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এই দস্যুদের কারণে বনজীবীরা ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। আর এর প্রভাব যে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আক্রান্ত করছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে এই দস্যুদলকে থামাতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হলো। কিন্তু বাস্তবে সুন্দরবনের মতো দুগর্ম, শ্বাপদসংকুল জায়গায় চষে চষে দস্যুদল খুঁজে বের করা রীতিমতো দুরূহ। খড়ের গাঁদায় সুঁচ খোঁজাও যেন ঢের সহজ কাজ।
ঠিক এরকম একটা পরিস্থিতিতে একজন মানুষ বাতলে দিলের অদ্ভুত এক সমাধান! যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এত ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নিতে হবে না। বরং দস্যুদলই দুর্গম বন থেকে দলে দলে এসে অস্ত্র জমা দিয়ে যাবে। এও কী সম্ভব! তাই করে দেখিয়েছিলেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম। বইটিতে তার নিজের সেই পথ চলার গল্পের পাশাপাশি উঠে এসেছে সুন্দরবনের জীবন সংগ্রাম, মানুষ, দস্যুদের জীবন ও পুনর্বাসনের গল্প।
“জীবনে ফেরার গল্প” বইটি প্রকাশ করছে আল-হামরা প্রকাশনী। বইমেলায় পাওয়া যাবে আল-হামরার পরিবেশক “ম্যাগনাম ওপাস” এর স্টলে। প্রি-অর্ডার করা যাবে আল-হামরা প্রকাশনী এবং “জীবনে ফেরার গল্প”- এর ফেসবুক পেইজর এর মাধ্যমে। সেখানে বিস্তারিত ঠিকানা ও কপির সংখ্যা জানালেই পৌঁছে দেয়া হবে বই। প্রি-অর্ডার করতে চাইলে ৩০% কমিশন থাকছে। এছাড়াও ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। আর বইমেলায় “ম্যাগনাম ওপাস” এর স্টলে বইটি মিলবে ২৫% কমিশনে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01948241725 অথবা 01733890309 এই নম্বরে। বিকাশে পেমেন্ট করতে চাইলে 01948241725 নম্বরে পাঠাতে পারেন।
Leave a reply