ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় মৃত্যু হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।
জানাজায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার আগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। বঙ্গবন্ধুর হত্যা যেমন মর্মান্তিক। তেমনি মুশতাকে হত্যাটাও মর্মান্তিক। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক হওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন। এই আইন বাতিল করুন। নইলে আপনাকেও এক দিন এই আইনের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের দায় অনেকের। আইন যারা করেছে তারা দায়ী। সরকার দায়ী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়ী। জামিন না দেয়া আদালতও দায়ী।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। অসংখ্য মানুষকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। ক্ষমতা আছে বলেই ফাঁসির আসামি ক্ষমা পান। মুশতাকরা জামিনও পান না। মুশতাকের খুনের দায় সরকার, মন্ত্রী-এমপিদের নিতে হবে।
পরে জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা জুতা হাতে রাজধানীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে বের হয়ে মৎস্য ভবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার টিএসসি এলাকায় শেষ হয়।
এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদ আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
Leave a reply