স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর :
রংপুরের শেখপাড়ায় একই সঙ্গে আপন দুই খালাতো বোনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল প্রেমিক আর, সে কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তারা। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তে এই আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মূল আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেইখানেই সে এই তথ্য দিয়েছে।
পিবিআই জানিয়েছে, রংপুর মেট্টোপলিটন তাজহাট থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪৪ নং মামলাটি দুই খালাতো বোনের একই সঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রংপুর কোতোয়ালী থানার শেখপাড়া গ্রামের আপন দুই খালাতো বোন আলমগীর হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার অন্নি (১৫) ও মঞ্জুর হোসেনের মেয়ে লুৎফন নাহার লাতুল (১৪) বিষপানে আত্মহত্যা করে।
পিবিআই বলছে, তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালী থানায় এ বিষয়ে মামলা করা হলে থানা পুলিশ দীর্ঘ আড়াই বছর তদন্তের পর মামলার তদন্তভার পিবিআই গ্রহণ করে। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক যতীন্দ্রনাথ শর্মা প্রায় ১ বছরের বেশি তদন্ত করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে আত্মহত্যা প্ররোচনা দানের মূল আসামি একই গ্রামের আনছার আলীর পুত্র মেরাজুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পিবিআই জানিয়েছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায় মেরাজুল এক সঙ্গে দুই খালাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে দুই বোনের সাথেই শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি উভয় বোন জানতে পাড়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরে তারা একই সময় তাদের নানার বাড়িতে সকলের অগোচরে বিষপানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
রংপুর মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ হতে ভুক্তভোগীদ্বয়ের আত্মহত্যার পূর্বে ধর্ষিতা হওয়ার বিষয়ে মতামত পাওয়া গেছে। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে বলেও জানান পিবিআই।
ইউএইচ/
Leave a reply