বরিশাল ব্যুরো:
পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামে ভাঙচুর করা হয় নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৪টি পিলার। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো চাখার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দীপু দত্ত (৮৭), আশ্রয়ণ
প্রকল্পের সাব কন্ট্রাক্টর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বাহির আকড়া এলাকার রাম প্রসাদ
মণ্ডল (৩৩), নির্মাণ শ্রমিক খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের ইমরান সিকদার (২৭) ও মিশকাত মোল্লা (২৭) এবং নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জামরুল ডাঙ্গা গ্রামের সাদিক শেখ(৩২)।
সোমবার বিকেলে বরিশাল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মারুফ হাসান জানান, গেল ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মাণাধীন ঘরের বেশ কিছু পিলার ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায় শ্রমিকরা। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সুমন কাজীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন চাখার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাদশা মিয়া।
মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, সাকরাল গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পে কর্মরত ইমদাদুল ইসলাম নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রবাসীর বাড়ির পাশের বাগানে ওই নারীর সাথে দেখা করতে যায় ইমদাদুল ইসলাম। এঘটনার জেরে তাকে মারধর করে সুমন কাজীসহ ২/৩ জন।
এনিয়ে সুমনের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপু দত্তের তর্ক হয়। এর জের ধরে এবং নির্মাণ শ্রমিকের পরকীয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঘর ভাঙচুরের পরিকল্পনা করেন ইউপি সদস্য দীপু দত্ত ও প্রকল্পের সাব কন্ট্রাক্টর রাম প্রদান মণ্ডল। তাদের নির্দেশে গভীর রাতে শ্রমিক ইমরান সিকদার, সাদিক শেখ ও মিশকাত মোল্লা ঘরের পিলার ভাংচুর করে।
আসামিরা ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply