মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ (৩৫) নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। তার লাশ নিয়ে বিচারের দাবিতে মিছিল করেছে স্থানীয়রা। এ সময় মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ করে শ্লোগান দিয়ে তার ৪/৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার বিকাল ৫টায় মিরকাদিম পৌরসভার মিরাপাড়া থেকে লাশ নিয়ে মিছিল শুরু হয়ে এরপর ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সন্ধ্যায় মিরাপাড়া কবরস্থানে নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ( ৪ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের হামলার পরদিন গতকাল শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ফিরোজ মিরকাদিমের মিরাপাড়া এলাকার মৃত রব ফকিরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজের ভাই উজ্জ্বল জানান, গত বৃহস্পতিবার মিরাপাড়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টায় বাসা থেকে বের হয় আমার ভাই। এরপর আমার ভাই নির্জন একটি স্থানে আসলে মাথার পিছনে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার রাত ১১টায় মারা যায়।
তিনি জানান, আমার ভাই মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর আহমেদ কালামের সমর্থক। এর জের ধরেই প্রতিপক্ষ মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের সমর্থকরা হামলা করে তাকে খুন করেছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মারধরের মামলা হয়েছিল। নিহতের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হয়েছে। মোহাম্মদ আলামিন (২০) নামে একজনকে আটক করে আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ইউএইচ/
Leave a reply