নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশে ছেড়েছিলেন তামিমরা। সেখানে পৌঁছেই রুম-বন্দি ছিলেন তিন দিন। চতুর্থ দিন থেকে কিছু সময়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে নিশ্বাস নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। অষ্টম দিন থেকে ছোট ছোট গ্রুপ করে মাঠে গিয়ে অনুশীলনের অনুমতি ছিলো। সেটাও আবার মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য।
এর মাঝে ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সে রাতে ঘুমিয়ে থাকায় খুব বেশি অনুভব করতে পারেননি টাইগার ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে অনুশীলন করে গেছে পুরো দল।
বুধবার ১৪ দিনের বিধি নিষেধ কাটিয়ে করোনার পরীক্ষার শেষ ধাপ অতিক্রম করে বাংলাদেশ দলের প্রতিটি সদস্য। ফলে এখন থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন বাংলাদেশ দলের সবাই।
নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশর জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তারপরও বিন্দু মাত্র ভয় নেই তামিমদের। কিউই গণমাধ্যমের সাথে সাক্ষাতকারে তামিম ইকবাল বলেছেন, করোনার বাধা টপকাতে পেরেছি এখন সময় সামনের দিকে তাকানোর।
টাইগারদের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল আরও বলেন, সবচাইতে ভালো ব্যাপার হচ্ছে এখন আমরা মুক্ত। তাজা বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি। আইসোলেশনের সময় কেবল নির্দিষ্ট একটু সময় এই সুযোগ ছিল। এখন থেকে আর সে বাধা নেই।
স্বাভাবিক সময় হলে হয়তো এই সিরিজটি ২০-২৫ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতো। তবে করোনার কারণে লম্বা সময় নিউজিল্যান্ডে থাকতে হচ্ছে টাইগারদের। এ প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন, এবার আমাদের সফর প্রায় ৪৫ দিনের, সাধারণ পরিস্থিতিতে এই সফর হয়তো ২০ দিনেই শেষ করে আমরা বাড়ি ফিরতে পারতাম। এখন ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হলো। কিন্তু এখন সময়টাই এমনই। সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মকে শ্রদ্ধা করতেই হবে আমাদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ কয়েক সিরিজে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে এবার ভালোকিছু করার প্রত্যাশ করছি। তবে অবশ্যই আমাদের দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে।
টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ ভোটোরি এখন কুইসল্যান্ডে। তামিমরাও পৌঁছে গেছেন সেখানে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু কবরে বাংলাদেশ দল । প্রস্তুতি নিয়ে তামিল বলেন,আমাদের কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন আছে সেখানে। একটি ম্যাচও খেলব আমরা। মুখিয়ে আছি সেসবের জন্য। আইসোলেশনের গত কয়েকদিনে ছোট গ্রুপে অনুশীলন করেছি আমরা। কাল থেকে দল হিসেবে অনুশীলন করব, সেদিকে তাকিয়ে আছি।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমে করোনা নিয়ে বাংলাদেশের কার্যক্রমের কথাও বলেছেন
তামিল ইকবাল, তিনি বলেন টিকা সবারই নিতে হবে। তবে জাতি হিসেবে আমাদের দেশ অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করেছেন। তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। জাতি হিসেবে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান।
তিনি বলেন, শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, দেশের সকল শ্রেণীর লোক টিকা নিতে পারছে। সেটিও আবার বিনামূল্যে। তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশ যা করেছে, তা নিয়ে আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত অন্য দেশও এটি অনুসরণ করবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ মার্চ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
Leave a reply