মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিজিটাল সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। বুধবার মালয়েশিয়া সময় রাত সাড়ে ৯ টায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলা টাইগার নামক দূতাবাসের ডিজিটাল সেবার উদ্বোধন করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মিজ মাশফী বিনতে শামস।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির সাথে সংযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বাংলা টাইগার ডিজিটাল’ তৈরি করেছে। এই প্রয়াসে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডটলাইনস হাই কমিশনের টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে কাজ করছে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে প্রবাসীরা সহজেই পাসপোর্ট, বৈধকরণ, চাকরির আবেদনসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা পাবেন। এজন্য সেবা-প্রার্থীদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না।

মালয়েশিয়া নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মাদ গোলাম সারওয়ার তার স্বাগত বক্তব্যে প্ল্যাটফর্মটির সংক্ষিপ্ত পটভূমি তুলে ধরে প্রবাসীদের সুবিধার্থে এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ মাশফী বিনতে শামস বলেন যে, এই প্ল্যাটফর্মটি প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে জনসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ। হাইকমিশনের এই উদ্যোগের ফলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপকৃত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের বিশাল অবদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় হাই কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলা টাইগার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত অডিও-ভিজুয়ালও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হাই কমিশনের উপ-হাইকমিশনার ও মিনিস্টার মোহাম্মাদ খোরশেদ এ খাস্তগির। অনুষ্ঠান শেষে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর সাংবাদিকদের সাথে হাই কমিশনার এ বিষয়ে মত বিনিময় করেন।

এই প্রয়াসের মাধ্যমে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল মিশন হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেলো। ভবিষ্যতে মোবাইল টেলিফোন, স্বাস্থ্যসেবা, রেমিটেন্সের মতো নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে রয়েছে বাংলাদেশের হাই কমিশনের।