গেল শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বহরের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ফেরিতে ওঠায় দুই যাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মেয়রের প্রটোকলে থাকা সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সেই দুই যাত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমববার যমুনা টেলিভিশনের টক শো ‘আমজনতা’য় যুক্ত হন সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী নূহ আলম রাজীব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের। অনুষ্ঠানে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখেন দু’জন।
নূহ আলম রাজীব দাবি করেন, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়রের প্রোটকলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই তাদের উপর হামলা করেছিল এবং ওয়ারলেস ফোন দিয়ে তাদের আঘাত করে আহত করে। তবে এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের।
আমজনতায় রাজিব বলেন, এটি কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটি একটি ব্যক্তিগত ঘটনা তবে এই ঘটনা সবাকেই জানানো উচিত যে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যারা থাকে তারা সাধারণ মানুষের সাথে কতটা খারাপ আচরণ করে। এবং মেয়রেরও জানা উচিত এই ব্যাপারে কারণ তারা তো খারাপ না, খারাপ তাদের পাশে থাকা লোক জন। যাদের কারণে জনগণের কাছে তাদের নাম খারাপ হচ্ছে।
যমুনা টিভির এই অনুষ্ঠানে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা বর্ণনা করলে রাজীবের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য জবাব দেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের। নাসের বলেন, রাজীব সাহেব বলছেন তাদের ওয়ারলেস ফোন দিয়ে আঘাত করা হয়েছে কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে আমাদের ওয়ারলেস ফোন নিয়ে যাওয়া হয়নি। ওই ফোনগুলো শুধু আমরা ঢাকার মধ্যেই ব্যবহার করে থাকি।
নাসের দাবি করেন, রাজীবরা অন্য কারও দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মেয়রের প্রটোকলে থাকা ব্যক্তিরা এই ঘটনা ঘটায়নি। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত তবে এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে কি না বা উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে কিনা সেটি নিয়েও ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, এই ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছেন এই ঘটনার সাথে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত নয়।
তবে, রাজীব দাবি করেন তাকে মেয়রের সাথে থাকা লোকজনই আঘাত করেছে। তারা তাকে যেভাবে আঘাত করেছে তাতে তিনি বা তার সঙ্গী মারাও যেতে পারতেন। এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে রাজীব কান্না করে ফেলেন।
Leave a reply