সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যযমুুনার গটিয়ার চরে পুলিশে হাত থেকে বাঁচতে নিজের শরীরে নিজেই পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক মোটরসাইকেল চোর দলের গ্যাং লিডার জুয়েল রানা (৩৫)। সে গটিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
বুধবার বিকাল ৬ ঘটিকার দিকে এ-ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারটি চোরাই মোটর সাইকেল সহ তার বসত ঘর পুড়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত সিনিয়র পুলিশ সুপার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ৮টি চুরি, ১টি ডাকাতি ও ২টি অন্যান্য সহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে ৪টি জেলাতে। তাছাড়া তার নেতৃত্বে মাঝে মাঝেই মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। মূলত মামলার সূত্র ধরেই বুধবার দুপুরে সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ নৌকা যোগে যমুনা নদী পার হয়ে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের গটিয়ারচর গ্রামে জুয়েলের বাড়ীতে অভিযান চালায়।
এসময় জুয়েল বাড়ীতে নিজের ঘরেই অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়েল ঘরের দরজা আটকে বসে থাকে। অনেক ডাকা ডাকির পর সে দরজা না খুলে পুলিশ সদস্যদেরকে তার বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং নানা ভাবে হুমকি ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পাশের মেছরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠান। চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মাস্টার ঐ ওয়ার্ডের মেম্বর জহুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েল রানাকে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করেন। তাতেও তার সাড়া মেলেনি। এক পর্যায়ে ঘরের ভিতর থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। এসময় পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ভিতর থেকে আগুনে পোড়া জুয়েলের মৃত দেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘরের মধ্যে থাকা চারটি চোরাই মটর সাইকেলও পুড়ে যায় বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান অভিযুক্ত জুয়েল হোসেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ছিনতাই রাহাজানি এবং চুরির অভিযোগে আটটি মামলা সহ বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তিনি একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত প্রাপ্ত পলাতক আসামী। মেছারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান আমাদের ধারনা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে জুয়েল ঘরের ভিতর থাকা মোটরসাইকেলের পেট্রল নিজের শরীরে ঢেলে তাতে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আমরা বার বার তাকে বের হয়ে আসতে বলেছি কিন্তু সে আর বের হয়নি।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত জুয়েলের মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
Leave a reply