পাবনায় সদর উপজেলার চরঘোষপুর এলাকায় চম্পা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরজু সরদারের বিরুদ্ধে।
রোববার বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূ চম্পা খাতুনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনা বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের বায়া গ্রামের আব্দুল রহমানের মেয়ে চম্পা খাতুন। ছয় বছর আগে তার সাথে বিয়ে হয় পাবনা সদরের চরঘোষপুর এলাকার আকমল সরদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি আরজু সরদারের সাথে। বিয়ের পরে তাদের ঘরে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি ছয় মাস আগে গোপনে চম্পা খাতুনের স্বামী আরজু সরদার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
প্রথম স্ত্রী চম্পাকে ছেড়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে স্বামী আরজু তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এরই একপর্যায়ে রোববার স্বামী আরজু ও তার পরিবারের সদস্যরা এই গৃহবধূকে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে চম্পা খাতুন আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এই বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে বা হাসপাতাল থেকে কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। বিষটি তদন্ত করে দেখার জন্য আমি এখনই হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply