রংপুরে চলছে না গণপরিবহন

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

সরকারের ঘোষণার পরেও রংপুর মহানগরীতে চলছে না গণপরিবহন। সিটি করপোরেশনে চলাচলের এরিয়া কম হওয়ায় চালকরা চালাচ্ছেন না গণপরিবহন।

বুধবার সাত সকালে গণপরিবহনের চালক, সহযোগী এবং সুপারভাইজাররা রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসলেও তারা গাড়িতে হান দেননি। যাত্রীরাও আসেননি টার্মিনালে। ফলে সারিসারিভাবে টার্মিনালেই সাজানো আছে গাড়ি।

ড্রাইভার আমিনুল ইসলাম জানান, রংপুর সিটি এলাকায় দম দমা থেকে হাজিরহাট পর্যন্ত গণপরিবহন চালানোর সুযোগ আছে। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ১০ কিলোমিটার। এতো স্বল্প দৈর্ঘ্য এলাকায় গাড়ি চালালে তেলের টাকাই না উঠার কথা বলছেন তারা।

অপর ড্রাইভার আব্দুল খালেক জানান, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা মহানগরী ছাড়া কোনো সিটি এলাকাতেই গণপরিবহন চালানো সম্ভব নয়। রংপুর সিটিতে গাড়ি চালানো সংক্রান্ত ঘোষণা নাটক ছাড়া কিছু না।

জলঢাকাগামীর সুপারভাইজার সফিউল ইসলাম জানান, টিভিতে শিরোনাম গেছে মহানগরী এলাকায় গাড়ি চলবে। সেকারণে আমরা সকাল ৬টায় আসলেও কোনো যাত্রী স্ট্যান্ডে আসেনি। আর রংপুর সিটিতে যে যাত্রী আছে তা রিকশা আর অটো ওয়ালারাই বহন করছে। লকডাউনের সময়ে তাদেরই যাত্রী কম। তারা অনেকেই বসে আছে। সুতরাং এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবহন সেক্টরের সাথে তামাশার সামিল। তিনি আন্ত:জেলা গণপরিবহন চালুর দাবি জানান।

রংপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ জানান, গাড়ি না চলার কারণে শ্রমিকদের পেটে ভাত নেই। রংপুর সিটিতে গণপরিবহন চলার মতো কোনো সুযোগ নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্ত:জেলা গণপরিবহন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রংপুর সিটি এলাকায় গণপরিবহন চললে আমরা সহযোগিতা করবো।

রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, আসলে গণপরিবহন চলাচলের মতো সিটি এলাকায় এরিয়া খুবই কম। লকডাউনে মানুষ কম বের হচ্ছে। যতটুকু যাত্রী আছে তা রিকশা অটোতেই কাভার হচ্ছে। সেকারণে গণপরিবহন চালাচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply