পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। করোনায় উৎসবের আয়োজন না থাকলেও ঘরে ঘরে সীমিত পরিসরে উৎসব পালন করছে চাকমা জনগোষ্ঠী।
একইসাথে মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসু’কে ঘিরে সকল আনুষ্ঠানিক আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। তবে ঘরোয়াভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চলমান করোনা সংকটে বিবর্ণ পাহাড়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবি। সাজেনি গ্রাম পাড়া মহল্লা। তবে উৎসব পালনে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে কিছুটা সামাজিক আয়োজন চলছে। চাকমাদের মূল বিঝু উপলক্ষে চলছে ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন।
এদিনে হরেক রকম সবজি দিয়ে রান্না করা ঐতিহ্যবাহী পাজন তরকারি। প্রতিটি ঘরেই পাজনের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন খাবার দাবার। গতকাল নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। যাকে ফুল বিজু বলে চাকমা সম্প্রদায়।
বছরের পর বছর ধরে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব সার্বজনীনভাবে পালিত হয়ে আসছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালন হয় পাহাড়ে। তুলে ধরা হয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে। করোনার কারণে এবার বিবর্ণ হয়েছে এ উৎসবটি।
Leave a reply